বইয়ের নাম: নবীগঞ্জের দৈত্য,
লেখকের নাম: শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়,
প্রচ্ছদ ও অলংকরণ: সুব্রত চৌধুরী,
প্রথম প্রকাশ: জানুয়ারি, ১৯৯৪
প্রকাশনী: আনন্দ পাবলিশার্স,
পৃষ্ঠা: ৯৫,
মুদ্রিত মূল্য: ৮০ টাকা। (ভারতীয় রুপী)
নবীগঞ্জের সবচেয়ে দুঃখী লোক হলেন দুঃখহরণ বাবু। ছোটখাটো, দুর্বল, ভিতু এই মানুষটি একসময় নবীগঞ্জের স্কুলে মাস্টারি করতেন। কিন্তু ছেলেরা তার কথা মোটেই শুনত না, ক্লাসে ভীষণ গন্ডগোল হতো। দোর্দণ্ডপ্রতাপ হেডস্যার প্রতাপচন্দ্র মার্কশু অবশেষে একদিন দুঃখবাবুকে ডেকে বললেন, "এভাবে তো চলতে পারে না। আপনি বরং কাল থেকে আর ক্লাস নেবেন না, কেরানিবাবুকে সাহায্য করবেন। ওটাই আপনার চাকরি।" দুঃখবাবু এ কথায় খুব দুঃখ পেয়ে চাকরি ছেড়ে দিলেন... আর এরপর থেকেই তার দুঃখের ষোলকলা পূর্ণ হতে শুরু হলো!
এতোসব দুঃখের মাঝেও দুঃখবাবু অন্তত একটু নিরিবিলিতে ছিলেন, কিন্তু সেই সুবিধাটাও বোধহয় ঈশ্বরের সহ্য হলো না। হঠাৎ করেই কয়েকদিন ধরে অদৃশ্য থেকে দুঃখবাবুকে কে যেন সমানে কাতুকুতু আর গাট্টা দিয়ে যাচ্ছে। সেই দুঃখে দুঃখবাবুর দুঃখের আর সীমা পরিসীমা রইলো না। যাকে বলে একেবারে ব্যারাছ্যারা অবস্থা!!
যদিও দুঃখবাবুর দুঃখ, তবুও সে এক দেখার জিনিসই বটে!!
ভোর হতে না হতেই নবীগঞ্জে হইচই পড়ে গেলো। কেউ বলে ভূত, কেই বলে ডাকাত, কেউ বলে রাক্ষস, কেউ বলে যমদূত। কিন্তু সে যে আসলে কোনটা, তা কেউ নিশ্চিত হয়ে বলতে পারছেনা। রাতের আঁধারে যে যেভাবে দেখেছে, দিনের আলোতে সে সেইভাবেই তাকে ব্যাখ্যা করছে। তবে সে যেই হোক না কেন - সে যে একটা বেঁটে, মোটা, লম্বা, রোগা, ফরসা, আর কালো লোককে খুঁজে বেড়াচ্ছে সে ব্যাপারে সবাই নিশ্চিত হতে পেরেছে। খুবই জটিল ব্যাপার! নবীগঞ্জের শান্ত জল বাতার কে যে ভারি করতে আসলো, কে জানে!!
আমি না বড় হতে চাই না, সবসময় এতটুকুই থাকতে চাই - যাতে শীর্ষেন্দুর হাতি ঘোড়া পড়ে পড়ে নিজের মনে হেসে গড়াগড়ি করতে পারি...
রেটিং: ৮/১০
Nobigonjer Doittyo
Post a Comment
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.