বইয়ের নাম: ভুতুড়ে ঘড়ি,
লেখক: শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়,
প্রচ্ছদ ও অলংকরণ: দেবশিস দেব,
প্রকাশনী: আনন্দ পাবলিশার্স,
প্রথম প্রকাশ: আগস্ট, ১৯৮৪
পৃষ্ঠা: ১০৭,
মুদ্রিত মূল্য: ৫০ টাকা। (ভারতীয় রূপী)
জিনিস হারানোয় হারানচন্দ্রের জুড়ি মেলা ভার। বয়স হয়ে গেছে, নাতী-পুতিও হয়ে গেছে বটে, তবে তাঁর জিনিস হারানোর পুরোনো অভ্যাসটা এখনো যায় নি। সেই স্কুলে থাকতে ক্ষণেক্ষণে পেন্সিল, কলম, রাবার হারাতেন। এখন বুড়ো বয়সে তার ডেভেলপ হয়ে হারান ঘড়ি, চটি জুতো, বাধাঁনো দাত, চশমা ইত্যাদি। এরমধ্যে ঘড়ি হারানোয় তো রীতিমত গিনেসবুকে রেকর্ড করে ফেলতে চলেছেন। অদ্যাবধি তিনি তিনশো বাইশ খানা ঘড়ি হারিয়ে তেইশে পড়েছেন। এদিকে ওসব হারানোর ক্ষেত্রে হারানচন্দ্রের যুক্তিও খুব গোলমেলে। বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে তিনি প্রমাণ করে দেয়ার চেষ্টা করেন, তাঁর ঘরি হারায় নি। বরং দুর্ঘটনাবশত তা হাঁতছাড়া হয়েছে। এ নিয়ে প্রায়শই হারানচন্দ্রের বউ বাসবনলিনীর সাথে তাঁর খিটমিটে ভাব চলতে থাকে।
এবার যখন হারানচন্দ্র ফের ঘড়ি হারালেন তখন বড়ছেলে সত্যগুণ কলকাতা থেকে বাবার জন্যে আবারো একটা ঘড়ি কিনে আনলো। সেই ঘড়ি নিয়েই যতো ঝামেলা, তার শুরু হলো। ঘড়িটা দেখতে বেশ অদ্ভুত। বারোটা ঘরের বদলে সেখানে চব্বিশখানা ঘর। কাটাও তিনটে না হয়ে নয়টে। ভারি অদ্ভুত ঘড়ি। প্রথমদিন রাতেই বালিশের নিচে ঘড়ি রেখে হারানচন্দ্র ঘুমোতে গেলে টের পেলেন কেউ যেন কথা বলছে। হারানচন্দ্র নাস্তিক মানুষ। ভুতে-ভগবানে বিশ্বাস নেই। কিন্তু এতসব আওয়াজ শুনে কিছুটা আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছিলেন তিনি। সারারাত ঘুমোতে না পেরে সকাল হতেই ঘড়ি নিয়ে ছুটলেন তাঁর বাল্যবন্ধু জটাইয়ের কাছে। আর তারপর থেকেই যত অদ্ভুতুরে কান্ড হতে চললো ঘড়িটা নিয়ে ....
ভাল লেগেছে বইটা। এসব সাইজের বই পড়তেই সবচেয়ে ভাল লাগে আমার। শুরু না করতেই শেষ। অল্পের মধ্যেই সব সুখ। শীর্ষেন্দুর অন্যান্য কিশোর উপন্যাসগুলোর মতই সুখপাঠ্য 'ভুতুড়ে ঘড়ি' বইটা।
রেটিং: ৭.৫/১০
রিভিউ লিখেছেনঃ Khalid Mahmud
ফরম্যাটঃPDF পিডিএফ বই
সৌজন্যেঃFree bangla pdf books ডাউনলোড
রেজুলেশনঃ ৬০০ DPI
বইয়ের ট্যাগঃ
Post a Comment
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.